দুস্থ ও অবহেলিত শিশুদের যত্ন ও হেফাজতের জন্য ব্যবস্থা | শিশু আইন

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় দুস্থ ও অবহেলিত শিশুদের যত্ন ও হেফাজতের জন্য ব্যবস্থা

দুস্থ ও অবহেলিত শিশুদের যত্ন ও হেফাজতের জন্য ব্যবস্থা

 

দুস্থ ও অবহেলিত শিশুদের যত্ন ও হেফাজতের জন্য ব্যবস্থা

 

৩২। যে সকল শিশুকে গৃহহীন, দুস্থ ইত্যাদি অবস্থায় পাওয়া যায়। –

(১) কোন প্রবেশন অফিসার কিংবা সাব-ইন্সপেক্টরের নিম্ন পদমর্যাদার নয় এমন পুলিশ অফিসার অথবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রদত্ত অন্য কোন ব্যক্তি কিশোর আদালত বা ৪ ধারা অধীনে ক্ষমতা প্রাপ্ত আদালতে, তাহার মতে শিশু বিবেচিত কোন ব্যক্তিকে হাজির করিতে পারিবেন, যাহার –

              (ক) কোন গৃহ, নির্দিষ্ট কোন বাসস্থান অথবা জীবন ধারণের কোন

দৃশ্যমান উপায় নাই, অথবা নিয়মিত ও যথাযথভাবে অভিভাবকের ক্ষমতা

প্রয়োগ করিতে পারেন এইরূপ কোন পিতা মাতা বা অভিভাবক নাই; অথবা

              (খ) ভিক্ষা করিতে দেখা গিয়াছে অথবা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কোন কাজ এইরূপ অবস্থায় করিতে দেখা যায় যাহা উক্ত শিশুর মঙ্গলের পরিপন্থী ; (গ) দুস্থ অবস্থায় নিপতিত দেখা যায় অথবা যাহার পিতা মাতা বা অভিভাবক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা কারাদণ্ড ভোগ করিতেছে ; অথবা

              (ঘ) এইরূপ পিতা-মাতা অথবা অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে, যিনি প্রায়ই স্বভাবতঃ শিশুটিকে অবহেলা করে অথবা তাহার সহিত নিষ্ঠুর আচরণ করে; অথবা

              (ঙ) যাহাকে সাধারণত কোন কুখ্যাত অপরাধী অথবা পতিতার সংগে পাওয়া যায় যে তাহার পিতা মাতা কিংবা অভিভাবক নহে; অথবা

              (চ) যে এইরূপ কোন বাড়িতে অবস্থান করিতেছে অথবা প্রায়ই যাতায়াত করিতেছে যাহা পতিতা বৃত্তির কাজে কোন পতিতার ব্যবহারের অধীনে রহিয়াছে এবং সে উক্ত পতিতার শিশু নহে; অথবা 

              (ছ) যে প্রকারান্তরে কোন অসৎ সঙ্গে পতিত হইতে পারে অথবা নৈতিক বিপদের সম্মুখীন হইতে পারে অথবা অপরাধের জীবনে প্রবেশ করিতে পারে । (২) উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত কোন শিশুকে যে আদালতে হাজির করা হয় সে আদালত তথ্যাদি পরীক্ষা করিবেন এবং এইরূপ পরীক্ষার সারমর্ম লিপিবদ্ধ করিবেন এবং যদি মনে করেন যে, আরও তদন্ত করিবার পর্যাপ্ত কারণ রহিয়াছে তবে তদুদ্দেশ্যে তারিখ ধার্য করিবেন।

 

google news logo
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

              (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে তদন্তের জন্য ধার্য দিবসে অথবা অন্য কোন পরিবর্তিত তারিখ যে পর্যন্ত কার্যধারা মূলতবি থাকে সেই তারিখে আদালত এই আইনের অধীনে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইতে পারে উহার পক্ষে এবং বিপক্ষে যে সকল প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য প্রদত্ত হইতে পারে তাহা শুনিবেন এবং লিপিবদ্ধ করিবেন এবং যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপে পুনরায় তদন্ত করিতে পারেন ।

              (৪) এইরূপ তদন্ত করিয়া আদালত যদি সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত ব্যক্তি (১) উপ-ধারায় বর্ণিত একটি শিশু এবং তদানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন তাহা হইলে আদালত তাহাকে কোন প্রত্যায়িত ইনষ্টিটিউটে অথবা অনুমোদিত আবাসে প্রেরণের আদেশ দিতে পারিবেন অথবা তাহাকে কোন আত্মীয় কিংবা আদালত কর্তৃক উল্লেখিত এবং শিশুটির বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অথবা কোন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তত্ত্বাবধান করিতে ইচ্ছুক অন্য কোন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে নির্ধারিত পদ্ধতিতে সোপর্দ করিবার আদেশ দিতে পারিবেন ।

              (৫) যে আদালত শিশুকে কোন আত্মীয় অথবা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে প্রেরণের আদেশ দেন,আদেশ প্রদানকালে এইরূপ আত্মীয় অথবা অন্য ব্যক্তিকে জামিনদারসহ অথবা জামিনদার ছাড়া এই মর্মে একটি মুচলেকা সম্পাদনের নির্দেশ দিতে পারিবেন যে, তিনি শিশুটির সদাচারণের জন্য এবং শিশুটির সৎ এবং পরিশ্রমী জীবন যাপনের নিশ্চয়তা বিধানের অন্যান্য যে সকল শর্ত আদালত আরোপ করিবেন সেই সকল শর্ত পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন।

              (৬) যে আদালত শিশুটিকে আত্মীয় অথবা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোপর্দের জন্য এই ধারার অধীনে আদেশ প্রদান করেন সেই আদালত অতিরিক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারেন যে, শিশুকে প্রবেশন অফিসার অথবা আদালত কর্তৃক উল্লেখিত অন্য ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে রাখা যাইতে পারে ।

৩৩। অবাধ্য শিশু।-

(১) যে ক্ষেত্রে কোন শিশুর পিতা মাতা বা অভিভাবক কোন কিশোর আদালতে অথবা ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রাপ্ত আদালতে অভিযোগ করেন যে তিনি শিশুটিকে নিয়ন্ত্রণ করিতে অক্ষম,সে ক্ষেত্রে আদালত তদন্তের পর যদি সন্তুষ্ট হন যে শিশুটি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন তবে অনধিক তিন বৎসর মেয়াদে তাহাকে কোন প্রত্যায়িত ইনষ্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাসে প্রেরণের আদেশ দিতে পারেন ।

 

দুস্থ ও অবহেলিত শিশুদের যত্ন ও হেফাজতের জন্য ব্যবস্থা

 

(২) আদালত যদি সন্তুষ্ট হন যে, শিশুটির বাড়ির পরিবেশ সন্তোষজনক, শিশুটিকে প্রত্যায়িত ইনষ্টিটিউটে অথবা অনুমোদিত আবাসে প্রেরণের পরিবর্তে শুধুমাত্র তাহাকে তত্ত্বাবধান করা প্রয়োজন, তাহা হইলে শিশুটিকে অনধিক তিন মাসের মেয়াদে কোন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করিতে পারিবেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment