স্ট্যাম্প ডিউটি

আজকে আমরা স্ট্যাম্প ডিউটি সম্পর্কে আলোচনা করবো।

 

স্ট্যাম্প ডিউটি
স্ট্যাম্প ডিউটি

 

স্ট্যাম্প ডিউটি

বাটোয়ারা দলিলে আইনের বিধানমতে স্ট্যাম্প ডিউটি লাগবে। বাটোয়ারা দলিলে বর্ণিত সমগ্র সম্পত্তি যেসব সহ-শরীকদের মাঝে বণ্টিত হয় তাদের অংশ অনুযায়ী অথবা যখন কোন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ বা দেওয়ানী আদালত বা সালিসী কর্তৃক দেয় আদেশবলে যে যৌথ সম্পত্তি বণ্টন করা হয়েছে সেক্ষেত্রে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা আদালত বা সালিনী তদসম্পর্কিত যে নির্দেশ প্রদান করবেন সেই অনুযায়ী হবে। 

স্ট্যাম্প আইনের ২৯ ধারায় বর্ণিত আছে যে, কে ডিউটি দিবে। ধারাটি নিম্নে বর্ণনা করা হল

বিপরীত কিছু না থাকিলে স্ট্যাম্প খরচ বহন করিতে হইবে নিম্নরূপ

(ক) প্রথম তফসিলের নিম্নরূপ যেকোন অনুচ্ছেদে বর্ণিত কোন দলিলের ক্ষেত্রে যেমন-

অনুচ্ছেদ বা আর্টিকেল নম্বর   বিষয়
 –  প্রশাসন বণ্ড
 –  স্বত্ত্বের দলিল বা নিদর্শনপত্র, বন্ধকী সম্পত্তি বা জিনিস বা জামানত সংক্রান্ত দলিলী গচ্ছিত রাখা সংক্রান্ত চুক্তিনামা
১৩  –  বিনিময় বিল
১৫  –  বণ্ড বা মুচলেকা
১৬  –  বটোমারী বণ্ড, জাহাজ বা জাহাজের মালামাল বন্ধক রেখে কর্জ গ্রহণ
২৬  –  আবগারী বণ্ড আমদানী বা রপ্তানীর উপর ধার্য শুল্কের দলিল
২৭  –   ঋণপত্র বা ঋণ স্বীকার (ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেয়)

অতিরিক্ত খরচ মূল্যাদি আদায় করা বা দাবী করা

৩৪  –  ক্ষতি নিষ্কৃতি বণ্ড, ক্ষতি বা (লোকসান এড়াবার বণ্ড বা ইনডেমনিটি বণ্ড)
৪০  –  বন্ধকী দলিল বা কোম্পানীর কাগজপত্র বা অঙ্গীকারপূর্ণ পত্র
৪৯  –  প্রত্যর্থপত্র
৫৫  –  না-দাবী পত্র বা অবমুক্ত বা স্বত্বত্যাগ, হস্তান্তর
৫৬  –  রেসপনণ্ডেনসিয়া বণ্ড বা প্রতিবাদী (বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায়) বণ্ড
৫৭  –  জামানতি বণ্ড বা বন্ধক দলিল
৫৮  –    নিরূপণপত্র বা বন্দোবস্ত, জমি জরিপ বা কর নির্ধারণ
৬২  –  (ক) বিধিবদ্ধ কোম্পানীতে কিংবা কোম্পানীর বা অন্য সংবিধিবদ্ধ সংখ্যায় শেয়ার হস্তান্তর

 

 

স্ট্যাম্প ডিউটি
স্ট্যাম্প ডিউটি

 

(খ) ৮ ধারায় প্রদত্ত ঋণ স্বীকারপত্রসমূহ ব্যতীত অন্যান্য এরূপ ঋণপত্র হস্তান্তর, ঋণপত্র স্বীকারসমূহ শুল্ক/মাশুল আদায়যোগ্য হউক বা না হোক, যাহা বিক্রিযোগ্য জামানত বটে। 

(গ) কোন বও, বন্ধকী দলিল বা বীমা পলিসি দ্বারা নিশ্চয়তা প্রদান বা নিরাপদ করা হইয়াছে এমন কোন স্বার্থের হস্তান্তর। উপরোক্ত দলিলগুলো সম্পাদনকারীকেই স্ট্যাম্প মাতল প্রদান করিতে হয়।

(খ) অগ্নিবীমা ছাড়া অন্যান্য বীমার ক্ষেত্রে বীমাকারিকে বা যিনি বীমা সম্পন্ন করে থাকেন বা যিনি বীমা করেন;

(খ) অগ্নিবীমার ক্ষেত্রে যিনি পলিসি ইস্যু করেন;

(গ) হস্তান্তর দলিলের বেলায় গ্রহীতাকে একটি ইজারা ও ইজারা প্রদান করিবার চুক্তিপত্র ইজারা গ্রহীতাকে বা যিনি ইজারা গ্রহণে ইচ্ছুক

(ঘ) একটি ইজারার প্রতিরূপ বা অনুরূপ ক্ষেত্রে ইজারাদাতাকে । 

(ঙ) একটি বিনিময়পত্র বা বিনিময় দলিলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে সমান অংশে। 

(চ) একটি বিক্রয় সার্টিফিকেটের বেলায় যে সম্পত্তির ক্রেতাকে বা গ্রহীতাকে।

(ছ) একটি বাটোয়ারা দলিলের ক্ষেত্রে মোট সম্পত্তিতে যেই ব্যক্তি যেরূপ অংশ পাইৰে সেই অনুপাতে প্রত্যেক পক্ষকে মোট স্ট্যাম্প মাশুলের সেই অংশ দিতে হইবে কিংবা সেইক্ষেত্রে কোন রাজস্ব সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ বা দেওয়ানী আদালতের আদেশক্রমে। বা শালিসের রায় বা রোয়েদাদক্রমে যে সম্পত্তির বাটোয়ারা সম্পাদিত হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা আদালত বা সালিসকারী যেরূপ বা যে অনুপাতে মাশুল প্রদানের আদেশ দেবেন, সেই অনুপাতে মাশুল প্রদান।

স্ট্যাম্প না দেওয়ার ফলাফলঃ

স্ট্যাম্প আইনের ১ অনুচ্ছেদের ৪৫ এর বিধান মোতাবেক বাটোয়ারা দলিলে স্ট্যাম্প না দিলে ৩৫ ধারা মতে ফলাফল বর্তাবে।

৩৫ ধারায় বলা হইয়াছে যে, দলিলে যথাযথভাবে স্ট্যাম্প না দিলে উক্ত দলিল সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হইবে না। তেমনিভাবে উহা রেজিস্ট্রি করা বা যথাযথ বলে বলিয়া কোন সরকারি কর্মকর্তার নিকট বিবেচিত হইবে না।

 

স্ট্যাম্প ডিউটি
স্ট্যাম্প ডিউটি

 

স্ট্যাম্প আইনের ৩৫ ধারাঃ

কোন মাশুলযোগ্য নিদর্শনপত্র যদি যথাযথ স্ট্যাম্পযুক্ত না হইয়া থাকে তবে তাহা সাক্ষাস্বরূপ গ্রহণের জন্য আইনানুগ কর্তৃত্বসম্পন্ন কোন বাজি কর্তৃক কোন উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হইবে না অথবা তাহা কার্যকর, রেজিস্টারী কিংবা প্রমাণে ব্যবহার করা যাইবে না।

তবে শর্ত থাকে যে,

(ক) অনুরূপ কোন নিদর্শনপত্র যাহা দশ পয়সা বা পাঁচ পয়সা মাতলযোগ্য নহে তাহা অথবা কোন বিনিময় বিল বা প্রত্যর্থপত্র, সকল ন্যায্য ব্যতিক্রম সাপেক্ষে সাক্ষাস্বরূপ গৃহীত হইবে যদি উহার জন্য ধার্যকৃত মাতল প্রদান করা হয়, অথবা ঘাটতি স্ট্যাম্পযুক্ত নিদর্শনপত্রের ক্ষেত্রে অনুরূপ ঘাটতি পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ, পাঁচ টাকা জরিমানাসহ অথবা যথাযথ মাতল বা ঘাটতি অংশের দশগুণ পাঁচ টাকা হইলে অনুরূপ মাশুল বা অংশের দশগুণের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়।

(খ) যেক্ষেত্রে রশিদ স্ট্যাম্পযুক্ত হওয়া প্রয়োজন যদি তাহাতে স্ট্যাম্প প্রদান করা না হয় তবে একটাকা জরিমানা প্রদান করবার পর উক্ত রশিদে প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্পযুক্ত করা হইলে তাহা সাক্ষ্যস্বরূপ গ্রহণ করা যাইবে ।

(গ) যেক্ষেত্রে কোন চুক্তি দুই বা ততোধিক চিঠির দ্বারা সম্পদিত হয় এবং যেক্ষেত্রে একখানি চিঠিতে স্ট্যাম্পযুক্ত থাকে সেইক্ষেত্রে উক্ত চুক্তি যথাযথ ট্যাম্প বলিয়া গণ্য হইবে ।

(ঘ) ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির ১২ ও ৩৬ পরিচ্ছেদের অধীন কোন কার্যধারা ব্যতীত ফৌজদারী কোর্টের কোন কার্যধারার কোন নিদর্শনপত্র স্ট্যাম্পযুক্ত না হইলে সাক্ষ্যস্বরূপ গৃহীত হইবার ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছু বাধা হইবে না।

(ঙ) যেক্ষেত্রে কোন নিদর্শনপত্র সরকার বা সরকারের পক্ষে সম্পাদিত হইয়া থাকে অথবা এই আইনের ৩২ ধারা বা অন্যকোন বিধান প্রদত্ত কালেক্টরের সার্টিফিকেটযুক্ত হয় তবে নিদর্শনপত্র সাক্ষ্যস্বরূপ গৃহীত হইবার ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছু বাধা হইবে না।

বাটোয়ারা দলিল যথাযথ স্ট্যাম্পযুক্ত না হইলে তাহা যে কোন উদ্দেশ্যেই সাক্ষ্য- প্রমাণ হিসাবে স্বীকৃত হইবে না [33 DLR (HC)-282) 

শুল্ক আদায়যোগ্য দলিলের ক্ষেত্রেই ৩৫ ধারা প্রযোজ্য হইবে (AIR 1954 Assam ) 

যে সকল ক্ষেত্রে আইন কর্তৃক স্ট্যাম্পযুক্ত করিবার বিধান নাই সেই সকল ক্ষেত্রে ৩৫ ও ৩৬ ধারা কখনও আকর্ষিত হইবে না (PLD 1977 (SC)- 644]

 

 

google news logo
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

পার্টিশন মামলার একটি ডিক্রী:

বাটোয়ারা মামলার একটি ডিক্রী স্ট্যাম্প আইনের ২ (১৫) ধারামতে একটি বাটোয়ারা ডিক্রী। বাটোয়ারা মোকদ্দমায় প্রাথমিক আদেশ কোন বাটোয়ারার দলিল নয়। বাদী কোন একটি নির্দিষ্ট অংশের অধিকারী ঘোষণার ডিক্রী তবে বাটোয়ারা দলিল হিসাবে গণ্য হইবে না। যখন কোন যৌথ সম্পত্তির তার সহ-মালিকদের মধ্যে অংশ অনুযায়ী সরেজমিনে বন্টন করিয়া দেওয়ার জন্য মোকদ্দমা করা হয় এবং মোকদ্দমার দেয় ডিক্রীকে বাটোয়ারা দলিল বলা হয় এবং উহাতে প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প সংযুক্ত করা আবশ্যক। এই ডিক্রী জারীর ক্ষেত্রে একান্তভাবে বিবেচিত হয় |1959 PLD Lah. 511

স্ট্যাম্প আইনের ২ (১৫) ধারার বর্ণনাঃ

‘বণ্টন নিদর্শনপত্র’ অর্থ এইরূপ কোন নিদর্শনপত্র যাহা দ্বারা কোন সম্পত্তির সহ-মালিকগণ অনুরূপ সম্পত্তি পৃথক পৃথকভাবে ভাগ করিয়া লয় বা লইতে সম্মত হয় এবং বণ্টন কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ অথবা দেওয়ানী আদালত প্রদত্ত কোন চূড়ান্ত আদেশ এবং কোন মালিক কর্তৃক প্রদত্ত বণ্টন নির্দেশক রোয়েদাদ ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।

২(১৫) ধারার প্রযোজ্যতা আকর্ষণের যৌথ মালিক কর্তৃক সম্পত্তি বণ্টনের উপাদানগুলি অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনার বিষয়। প্রকৃত কণ্টন কিংবা বন্টনের চুক্তিই এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট। সম্পত্তির মালিকেরা কোন দলিলের মাধ্যমে সম্পত্তি বিভাজনের জন ঐক্যমতে পৌঁছিয়া থাকিলে উক্ত দলিলটি অংশ বণ্টনের দলিল বলিয়া বিবেচিত হইবে। অংশ বণ্টনের সংজ্ঞাটি রাজস্ব কর্তৃপক্ষ বা দেওয়ানী আদালত বণ্টন কার্যকরীকরণের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত কোন আদেশকেও বুঝায় (PLD 1983 Kar 382 ]

যথাযথ স্ট্যাম্প মাতল নিরূপণ :

স্ট্যাম্প আইনের ৩১ ধারা মোতাবেক – (১) কোন নিদর্শনপত্র সম্পাদন করিয়া বা না করিয়া অথবা স্ট্যাম্পযুক্ত করিয়া বা না করিয়া যদি কোন ব্যক্তি তাহা কালেক্টরের নিকট উপস্থাপন করেন ও স্ট্যাম্প মাশুল নির্ণয়ের জন্য দরখাস্ত করেন এবং প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করেন, যাহার পরিমাণ পাঁচ টাকা এবং ৫০ পয়সার কম নহে, তবে কালেক্টর উক্ত নিদর্শনপত্র বাবদ প্রদেয় স্ট্যাম্পমাশুল নির্ধারণ করিয়াদিবেন।

(২) এতদুদ্দেশ্যে কালেক্টর নিদর্শনপত্রের একটা সংক্ষিপ্তসার এবং তৎসহ নিদর্শনপত্রের মাতলযোগ্যতা বা মাতলের পরিমাণ প্রভাবিতকারী সকল তথ্য ও পরিস্থিতি নিদর্শনপত্রে সম্পূর্ণরূপে ও সঠিকভাবে বিবৃত হইয়াছে কি-না তাহা প্রকাশ করিবার জন্য তাহার মতে প্রয়োজনীয় হলফনামা কিংবা অন্য সাক্ষ্য পেশ করিতে নির্দেশ দিতে পারেন এবং তদনুযায়ী অনুরূপ সংক্ষিপ্তসার এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিতে পারেন তবে শর্ত থাকে যে,

(ক) এই ধারা অনুসরণে প্রদত্ত কোন সাক্ষ্য, নিদর্শনপত্রটি যে দলিল সম্পৰ্কীয় উহার স্ট্যাম্প মাতল নির্ণয় সংক্রান্ত অনুসন্ধানের ক্ষেত্র ব্যতীত, কোন দেওয়ানী কার্যধারার কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হইবে না; এবং

(খ) যাহারা অনুরূপ কোন সাক্ষ্য প্রদান করিয়াছেন তাহাদের প্রত্যেকে উপরোক্ত কোন তথ্য বা অবস্থা অনুরূপ নিদর্শনপত্রে সঠিকভাবে বর্ণনা করিতে বিরত থাকিবার কারণে এই আইনের অধীনে আরোপিত অর্থদণ্ড ভোগ করা হইতে অব্যাহতি পাইবেন।

৩১ ও ৩২ ধারার শর্তাবলী, যেখানে প্রযোজ্য হইবে সেখানে পালনীয় পদ্ধতি হইল এই যে, কালেক্টরের সম্মুখে যেকোন দলিল উপস্থিত হইলে তিনি উক্ত দলিলের উপর তাহার মতামত প্রদান করিবেন। মতামত প্রদান করিবার পর দলিলের উপর প্রদেয় পরিশোধ করা বা না করা সম্পূর্ণ আবেদনকারীর উপর নির্ভর করিবে। এই ধারায় কালেক্টর কর্তৃক স্ট্যাম্প সম্পর্কিত ন্যায় নির্ণয় (adjudication) লইয়া আলোচনা করা হইয়াছে।

স্ট্যাম্প আইনের ৪১ ধারা দৈবক্রমে ঘাটতি স্ট্যাম্পযুক্ত নিদর্শনপত্র যে ক্ষেত্রে মাত্র ১০ পয়সা বা পাঁচ পয়সা নিদর্শনপত্র বা বিনিময় বিল বা প্রত্যর্থপত্র ব্যতীত কোন নিদর্শনপত্র যাহা মাণ্ডলযোগ্য এবং যথাযথ স্ট্যাম্পযুক্ত নহে কোন ব্যক্তি, নিদর্শনপত্রখানি।

সম্পাদনের সময় হইতে এক বৎসরের মধ্যে তাহা স্বেচ্ছায় কালেক্টরের নিকট পেশ করিয়া উহার স্ট্যাম্প মাতলের অপূর্ণতা তাহার দৃষ্টিগোচর করেন এবং যথাযথ মাওল অথবা ঘাটতি স্ট্যাম্প মাতল প্রদান করেন তাহা হইলে তিনি যদি মনে করেন যে, উক্ত অপরাধ উক্ত ব্যক্তির স্বেচ্ছাকৃত নহে বা দৈবক্রমে অথবা জরুরী প্রয়োজন বশতঃ ঘটিয়াছে তাহা হইলে তিনি ৩৩ এবং ৪০ ধারার বিধান অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া অন্যরূপ মাশুল গ্রহণ করিবেন ।

এই ধারাটি দুর্ঘটনা, ভুল কিংবা গুরুতর প্রয়োজনের জন্য স্ট্যাম্প পরিশোধে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

বণ্ড সম্পাদনের এক বছরেরও পরে আদালতে উপস্থাপিত হইল যাহার সাথে ৩১ ও ৩২ ধারার সঙ্গে দরখাস্ত ছিল। এখানে ৪১ ধারার কোন প্রযোজ্যতা নাই। কালেক্টর ৪২ ধারার আওতায় অগ্রসর হইতে পারিবেন।

 

স্ট্যাম্প ডিউটি
স্ট্যাম্প ডিউটি

 

৪৯ ধারা । বিনষ্ট স্ট্যাম্প বাবদ বিশেষ সুবিধা প্রদানঃ

সরকার আবশ্যকীয় সাক্ষ্য কিংবা করণীয় অনুসন্ধান সম্পর্কে যে বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারেন তাহা সাপেক্ষে, কালেক্টর, ৫০ ধারায় নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে আবেদন করা হইলে এবং প্রাপ্ত তথ্যাদি সন্তোষজনক হইলে অতঃপর উল্লিখিত ক্ষেত্রসমূহে বিনষ্ট ইমপ্রেসড স্ট্যাম্পসমূহ বাবদ বিশেষ সুবিধা প্রদান করিতে পারিবেন। যথা-

(ক) এইরূপ কাগজের স্ট্যাম্প যাহা অসতর্কতাহেতু ও অনিচ্ছাকৃতভাবে বিনষ্ট হইয়াছে অথবা উহাতে লিখিত কোন নিদর্শনপত্র কোন ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত হইবার পূর্বে তাহা লিখিত ভুল কিংবা অন্য কোন কারণবশত ব্যবহারের অযোগ্য হইয়া পড়ে। 

(খ) এইরূপ দলিলের স্ট্যাম্প যাহা সম্পূর্ণ বা আংশিক লিখিত কিন্তু কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত নহে।

(গ)দাবীক্রমে ব্যতীত অন্য প্রকারে প্রদেয় বিনিময় বিল বা প্রত্যর্থ পত্রের ক্ষেত্রে-

(১) এই বিনিময় বিলের স্ট্যাম্প যাহা রচনাকারী কর্তৃক বা তাহার পক্ষে স্বাক্ষরিত হইলেও গৃহীত হয় নাই বা কোন প্রকারে ব্যবহৃত হয় নাই বা গৃহীত হওয়ার জন্য পেশ করা ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে হস্তান্তরিত হয় নাই।

তবে শর্ত থাকে যে, যেই কাগজে এইরূপ স্ট্যাম্প ছাপ মারা হইয়াছে তাহাতে পরবর্তীকালে লিখিত হইতে পারে এইরূপ কোন বিনিময় বিল গৃহীত হওয়ার জন্য অথবা তদুদ্দেশ্যমূলক কোন স্বাক্ষর থাকিবে না।

(২) এইরূপ বিনিময় বিলের স্ট্যাম্প যাহা উহার রচনাকারী কর্তৃক বা তাহার পক্ষে স্বাক্ষরিত হইলেও গৃহীত হয় নাই বা কোন প্রকারে ব্যবহৃত বা হস্তান্তরিত হয় নাই। 

(ঘ) নিদর্শনপত্রের কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত এইরূপ নিদর্শনপত্রের জন্য ব্যবহৃত স্ট্যাম্প। এই ধারা অনুসারে বিনষ্টকৃত স্ট্যাম্পের কয়েকটি শ্রেণী বিভাগ করা যাইতে পারে।

যথা— (১) সম্পাদনের পূর্বে বিনষ্ট স্ট্যাম্প; (২) সম্পাদনের পূর্বে ব্যবহারের অযোগ্য স্ট্যাম্প, (৩) বিনিময়পত্র ও প্রতিশ্রুতিপত্র; এবং (৪) সম্পাদনের পরে বিনষ্টকৃত বা ব্যবহারের অযোগ্য স্ট্যাম্প ইত্যাদি। 

৪৯ ধারা অনুযায়ী একটি বাটোয়ারা দলিল সম্পাদনের জন্য স্ট্যাম্প কাগজ ক্রয় পূর্বক আদালতে জমা দেওয়ার পর আদালতের কোন কর্মকর্তা উহা পাঞ্চ করিয়া ছাপ মারিয়া দেয়। এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত স্ট্যাম্প ব্যবহারের অনুপযোগী হইবে না।

স্ট্যাম্প আইনের তপসিল-১ এর ৪৫ অনুচ্ছেদঃ

 ৪৫। বণ্টন দলিলঃ

ধারা ২ (১৫) দ্বারা সংজ্ঞায়িত।

সম্পত্তির পৃথক পৃথক শেয়ারের অর্থ বা মূল্যের বণ্ড নং (১৫) বাবদ প্রদেয় একই পরিমাণ শুল্ক।

বি. দ্র.-সম্পত্তি বাটোয়ারার পর যে বৃহত্তম শেয়ার অবশিষ্ট থাকে তাহা (অথবা যদি সমমূল্যের) এইরূপ দুই বা ততোধিক শেয়ার থাকে যাহা অন্যান্য শেয়ার হইতে ক্ষুদ্রতর নহে তাহা হইলে এইরূপ সমান শেয়ারের একটি) হইতেই অন্যান্য শেয়ার পৃথক করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ।

তবে সর্বদা শর্ত থাকে যে,

(ক) যেইক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মালিকানায় সম্পত্তি বিভক্তির সম্মতি সম্বলিত কোন বাটোয়ারা দলিল সম্পাদিত হয় এবং অনুরূপ সম্পত্তি অনুসারে বাটোয়ারা কার্যকর হয়, সেইক্ষেত্রে অনুরূপ বাটোয়ারা কার্যকর করিবার দলিল বাবদ আদায়যোগ্য মাশুল হইতে প্রথমোক্ত দলিল বাবদ প্রদত্ত মাশুল বাদ যাইবে, তবে আদায়যোগ্য মাশুলের পরিমাণ এক টাকা পঞ্চাশ পয়সার কম হইবে না ।

(খ) যেইক্ষেত্রে রাজস্ব বন্দোবস্ত অনুযায়ী অনধিক ত্রিশ বৎসরের জন্য ভূমি দখলে থাকে এবং সম্পূর্ণ কর প্রদত্ত হয় সেইক্ষেত্রে মাশুলের উদ্দেশ্যে উহার মূল্য উক্ত ভূমির বার্ষিক রাজস্বের অনধিক পাঁচ গুণ হারে হিসাব করা যাইবে ।

(গ) বাটোয়ারা কার্যকরকল্পে কোন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ অথবা কোন দেওয়ানী আদালতের চূড়ান্ত আদেশ অথবা বাটোয়ারার চূড়ান্ত নির্দেশ সম্বলিত কোন সালিসের রোয়েদান যদি বাটোয়ারা দলিলের জন্য প্রয়োজনীয় মূল্যের স্ট্যাম্পযুক্ত হয় এবং অনুরূপ আদেশ বা রোয়েদাদ অনুসারে কোন বাটোয়ারা দলিল সম্পাদিত হয় তাহা হইলে অনুরূপ দলিল বাবদ প্রদেয় মাশুল এক টাকা পঞ্চাশ পয়সার ঊর্ধ্বে হইবে না।

অধিক্ষেত্রেঃ বণ্টন মামলার একটি দলিলের উপর আনায়যোগ্য স্ট্যাম্প তত্ত্বের কোন আদালতের এখতিয়ারের উপর প্রতিকূল প্রভাব বিস্তার করিবে না কিংবা কোর্ট ফি আইনের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত কোন প্রশ্নকেও নিয়ন্ত্রণ করিবে না (PLD 1960 Dhaka 565]

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment