আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বন্দীদের হাজিরা এবং তাহাদের সাক্ষ্য গ্রহণের প্রয়োজনে বিধান
Table of Contents
বন্দীদের হাজিরা এবং তাহাদের সাক্ষ্য গ্রহণের প্রয়োজনে বিধান
৩৪। এই ভাগে কারাগার, প্রভৃতির উল্লেখে রিফরমেটরী স্কুলকেও বুঝাইবে।-
এই ভাগে কারাগার বা কারাবাস বা অন্তরীণ প্রভৃতির সকল উল্লেখে রিফরমেটরী স্কুল বা সেখানে আটক রাখাকেও বুঝাইবে ।
৩৫। সাক্ষ্য প্রদানের প্রয়োজনে বন্দীকে হাজির করিতে দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা।-
৩৯ ধারার বিধান সাপেক্ষে, কোন দেওয়ানী আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, তাহার আপীল এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে, যদি তাহা হাইকোর্ট বিভাগ হয়, কিংবা, হাইকোর্ট বিভাগ না হইলে, অনুরূপ আদালত যে হাইকোর্ট বিভাগের অধস্তন, তাহার এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে অবস্থিত কোন কারাগারে আটক কোন ব্যক্তির ঐ আদালতে অনিষ্পন্ন কোন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সাক্ষ্য প্রয়োজন, ১ নম্বর তফসিলের বণর্না মোতাবেক আদালতে হাজিরের জন্য কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন
৩৬। জেলা জজকে ৩৫ ধারার অধীনে প্রদত্ত কতিপয় আদেশ প্রতিস্বাক্ষর করিতে হইবে।-
(১) যখন ৩৫ ধারা অধীনে কোন দেওয়ানী অনিষ্পন্ন বিষয়ে কোন আদেশ প্রদান করা হয়-
(ক) জেলা জজের অধস্তন কোন আদালত কর্তৃক, বা
(খ) ছোট মামলার আদালত কর্তৃক; তাহা কোন অফিসারের নিকট, যিনি নির্দেশিত হইবেন বা কার্যকর করিবেন, প্রেরণ করা যাইবে না, যেই পর্যন্ত পেশ করা না হয় এবং প্রতিস্বাক্ষরিত না হয়-
(i) জেলা জজ কর্তৃক, ঐ আদালত যাহার অধস্তন, বা
(ii) জেলা জজ কর্তৃক যাহার স্থানীয় এখতিয়ারের মধ্যে ঐ ছোট মামলার আদালত অবস্থিত।
(২)জেলা জজের নিকট উপ-ধারা (১) মোতাবেক দাখিল কৃত আদেশের সঙ্গে অধস্তন আদালত বা ছোট মামলার আদালতের বিচারকের একটি বিবৃতি থাকিবে, যাহাতে কোন কারণে আদেশ প্রদান প্রয়োজন তাহার উল্লেখ থাকিবে, এবং জেলা জজ উক্ত বিবৃতি বিবেচনা পূর্বক আদেশটি প্রতিস্বাক্ষর করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারেন।
৩৭। সাক্ষ্য প্রদান বা অভিযোগের জবাব প্রদানের জন্য বন্দীকে হাজির করিতে কতিপয় ফৌজদারি আদালতের ক্ষমতা।-
৩৯ ধারার বিধান সাপেক্ষে, কোন ফৌজদারি আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, তাহার আপীল এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে, যদি তাহা হাইকোর্ট বিভাগ হয়, কিংবা হাইকোর্ট বিভাগ না হইলে, অনুরূপ আদালত যে হাইকোর্ট বিভাগের অধস্তন, তাহার এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে অবস্থিত কোন কারাগারে আটক কোন ব্যক্তির ঐ আদালতে অনিষ্পন্ন কোন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বা তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের জবাব প্রদান প্রয়োজন, ২ নম্বর তফসিলের বর্ণনা মোতাবেক আদালতের হাজিরের জন্য কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি অনুরূপ আদালত প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের নিম্নের হয়, তাহা হইলে, উক্ত আদেশ সেই জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের প্রতিস্বাক্ষরের জন্য পেশ করিতে হইবে, ঐ ফৌজদারি আদালত যাহার অধস্তন বা এখতিয়ারভুক্ত এলাকার সীমানার মধ্যে অবস্থিত।
৩৮। ব্যক্তি যেখানে আটক রহিয়াছে আদেশ সেই জেলার বা মহকুমার ম্যাজিষ্ট্রেট এর মাধ্যমে অগ্রগামী করিতে হইবে।-
যে ব্যক্তির হাজিরার জন্য এই ভাগ অনুযায়ী আদেশ দেওয়া হইয়াছে, যদি আদেশ প্রদানকারী বা প্রতিস্বাক্ষকারী আদালতের এখতিয়ারভুক্ত এলাকার বাহিরের জেলায় সে আটক থাকে, তাহা হইলে যে জেলায় সে আটক রহিয়াছে সে জেলা বা মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে আদেশ প্রেরণ করিতে হইবে, এবং অনুরূপ জেলা বা মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেট যে কারাগারে বন্দী আটক রহিয়াছে, সে কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট তাহা প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন।

৩৯। একশত মাইলের বেশী দূরে আটক ব্যক্তিকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য স্থানান্ত রের পদ্ধতি।-(১) যখন হাইকোর্টে বিভাগের অধস্তন কোন আদালতে একশত মাইলের বেশী দূরে অবস্থিত কোন কারাগারে আটক কোন বন্দীর সাক্ষ্য প্রয়োজন হয়, এবং অনুরূপ আদালত মনে করে যে, এই ভাগ অনুযায়ী সাক্ষ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে তাহাকে স্থানান্তর করা প্রয়োজন, তখন ঐ আদালতের বিচারক বা সভাপতিত্বকারী কর্মকর্তা যে হাইকোর্টে বিভাগের আপীল এখতিয়ারাধীন, সেই হাইকোর্ট বিভাগের নিকট লিখিত আবেদন করিবেন, যদি হাইকোর্ট বিভাগ সমীচীন মনে করেন, তাহা হইলে কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ১ নম্বর সিডিউল মোতাবেক আদেশ প্রদান করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) মোতাবেক হাইকোর্ট বিভাগ কোন আদেশ যে জেলার কারাগারে বন্দী আটক রহিয়াছে, সেই জেলা বা মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে প্রেরণ করিবেন, এবং অনুরূপ ম্যাজিষ্ট্রেট সেই কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট তাহা প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন।
৪০। হাইকোর্ট বিভাগের আপীল এখতিয়ারের বাহিরে অন্তরীণ ব্যক্তি।-
যখন কোন বন্দী হাইকোর্ট বিভাগের আপীল এখতিয়ারভুক্ত বাহিরে কোন কারাগারে আটক থাকে, তখন অনুরূপ আদালতের কোন বিচারক যদি মনে করেন যে, আনীত অভিযোগের জবাব বা সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ঐ বন্দীকে ঐ আদালতে বা তাহার অধস্তন কোন আদালতে স্থানান্তর করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বন্দীকে স্থানান্তরের জন্য সেই সরকারের নিকট লিখিত আবেদন করিতে হইবে,
যাহার এলাকার মধ্যে ঐ কারাগার অবস্থিত, এবং ঐ সরকার সমীচীন মনে করিলে বন্দীদের প্রহরা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঐ সরকার নির্ধারিত বিধান সাপেক্ষে, ঐ ব্যক্তিকে স্থানান্তর করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
৪১ । বন্দীকে লইয়া আসিতে হইবে।-
যে কারাগারে বন্দী আটক রহিয়াছে, সেই কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট এই ভাগের অধীনে প্রেরিত কোন আদেশ পৌঁছানোর পর, আদেশে উল্লেখিত সময়ে বন্দীকে আদালতে হাজির করিবার ব্যবস্থা করিবেন, এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত তাহাকে পরীক্ষা না করে এবং যে কারাগারে আটক ছিল সেখানে ফেরত নেওয়ার আদেশ প্রদান না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আদালতের নিকটবর্তী স্থানে তাহাকে প্রহরায় আটক রাখিবার করিবেন ব্যবস্থা
৪২। সরকার কর্তৃক এই ভাগের কার্যকারিতা হইতে কতিপয় বন্দীকে অব্যাহতি প্রদানের ক্ষমতা।-
সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা কোন শ্রেণীর ব্যক্তিদেরকে কারাগার হইতে স্থানান্তর না করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন; এবং তাহার পর হইতে ঐ আদেশ কার্যকর থাকা পর্যন্ত ৪৪ ধারা হইতে ৪৬ ধারার বিধানসমূহ ব্যতীত, এই ভাগের অন্যান্য বিধান অনুরূপ ব্যক্তি বা অনুরূপ শ্রেণীর ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হইবে না । ৪৩। কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যখন আদেশ প্রতিপালনে বিরত থাকিতে হইবে।-নিম্ন বর্ণিত ক্ষেত্র সমূহে, যথা-
(ক) যখন ধারা ৩৫,৩৭ বা ৩৯ এর অধীনে প্রদত্ত আদেশে হাজির ৩১৫ করিবার জন্য এমন কোন বন্দীর নাম থাকে, যে অসুস্থতা বা বৈকল্যতার জন্য স্থানান্তরের অযোগ্য, কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঐ কারাগার যে জেলা বা মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেটের এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় অবস্থিত, তাহার নিকট লিখিত আবেদন করিবেন, এবং যদি অনুরূপ ম্যাজিষ্ট্রেট উল্লেখিত বন্দীকে তাহার অভিমতে অসুস্থতা বা বৈকল্যের জন্য স্থানান্তরের অযোগ্য বলিয়া ঘোষণা করেন;বা
(খ) যখন অনুরূপ আদেশে উল্লেখিত ব্যক্তি বিচারের জন্য সোপর্দ থাকে;বা
(গ) যখন অনুরূপ আদেশে উল্লেখিত ব্যক্তি অনিষ্পন্ন বিচার বা প্রাথমিক অনুসন্ধানের আওতায় রিমান্ডে থাকে;বা
(ঘ) যখন অনুরূপ আদেশে উল্লেখিত ব্যক্তি যে মেয়াদের জন্য আটক রহিয়াছে, এই ভাগ মোতাবেক স্থানান্তর করিবার পূর্বেই এবং আটককৃত কারাগারে ফেরত আনিবার পূর্বেই তাহার মেয়াদ উত্তীর্ণ হইয়া যাইবে; কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদেশ প্রতিপালন হইতে বিরত থাকিবেন, এবং যে আদালত হইতে আদেশ প্রেরিত হইয়াছে সে আদালতকে এইরূপ বিরত থাকিবার কারণ বর্ণনা করিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, পূর্বোক্ত অনুরূপ কর্মকর্তা এইরূপ বিরত থাকিবেন না, যখন-
(i) আদেশ ৩৭ ধারার অধীনে প্রদান করা হইয়াছে;এবং
(ii) আদেশে উল্লেখিত ব্যক্তিকে বিচারের জন্য সোপর্দ করা হইয়াছে, বা কোন অনিষ্পন্ন বিচারের জন্য পুন:আটক রহিয়াছে বা অনিষ্পন্ন প্রাথমিক অনুসন্ধানের আওতায় রহিয়াছে, কিন্তু অসুস্থতা বা বৈকল্যের জন্য উহাতে হাজির হইতে হইবে না; এবং
(iii) আদেশে উল্লেখিত যে স্থানে সাক্ষ্য প্রদান করিতে হইবে, তাহার দূরত্ব সে যে কারাগারে আটক রহিয়াছে সেখান হইতে ৫ মাইলের বেশী নয়।
আরও দেখুনঃ