জেল কোড অনুযায়ী কয়েদী রক্ষী

আজকের আলোচনার বিষয় কয়েদী রক্ষী প্রসঙ্গে

 

কয়েদী রক্ষী

 

কয়েদী রক্ষী । জেল কোড

বিধি-৪০৮। ৪ বৎসর বা ততোধিক মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী যাদেরকে বিধি মোতাবেক ওভারশিয়ার নিয়োগ করা হয়েছিল এবং তারা ওভারশিয়ার পদে ১ বৎসর কাজ করেছে তারা কয়েদী রক্ষী হিসেবে নিয়োগ যোগ্য। এমন কোন বন্দীকে কয়েদী রক্ষী হিসেবে নিয়োগ অত্যন্ত বিপদজনক হবে, যার কোন বাড়ীঘর নেই, বা যার প্রাক-পরিচিতি যাচাই করা হয়নি।নিয়োগের আগে তার বাসস্থান সংক্রান্ত তথ্য, সেখানে বসবাসকারী আত্মীয়-স্বজনের পরিচয় প্রভৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

এ সব তথ্য বন্দীর বাসস্থানের জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে। এ সব নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার চেয়ে যোগ্যতাকে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে এবং জেল সুপার নিজে বাছাই কাজ করবেন। কারা মহাপরিদর্শকের কাছে প্রেরিত পত্রে তিনি কোন বন্দীকে কেন বাছাই করলেন তার ব্যাখ্যা প্রদান করবেন।

বিধি-৪০৯। এই বিধি মোতাবেক কোন কয়েদী ওভারশিয়ার কয়েদী রক্ষী পদে পদোন্নতির জন্যে পুরোপুরিভাবে যোগ্য না হলেও জেল সুপারের বিশেষ আবেদনের মাধ্যমে কারা মহাপরিদর্শক তাকে পদোন্নতি প্রদান করতে পারবেন ।

বিধি-৪১০। ক-য়েদী রক্ষীর সংখ্যা সারাদেশের মোট বন্দী সংখ্যার শতকরা ১ ভাগের বেশী হবে না। কোন কেন্দ্রীয় বা জেলা কারাগারে তাদের কত জনকে সংযুক্তি প্রদান করা হবে তা কারা মহাপরিদর্শক নির্ধারণ করবেন।

 

কয়েদী রক্ষী

 

বিধি-৪১১। কয়েদী রক্ষীদেরকে কর্মচারী রক্ষীদের মতই কারাগারের ভিতরে একই নিয়মে এবং একই ধরনের দায়িত্ব প্রদান করা হবে, তবে তাদের নিকট প্রধান গেইট, সেল, স্লিপিং ব্যারাক, হাসপাতাল বা বন্দীদেরকে শাস্তি প্রদান বা নিরাপত্তার জন্যে আটক রাখার অন্যান্য স্থানের তালার চাবি দেয়া যাবে না। তাদেরকে কারাগারের দেয়ালের বাহিরে বন্দীদের একক দায়িত্বে নিয়োগ করা যাবে না।

কারাগারের আন লক বা লক আপের সময় সকল কয়েদী রক্ষী বেষ্টনীর ভিতরে সমবেত হবে এবং লক আপের পর কোন কয়েদী রক্ষীকে গেইটের বাহিরে থাকতে দেয়া হবে না। ৪১৪ বিধি মোতাবেক বেত বা লাঠি ব্যতীত তাদেরকে কোন অস্ত্র দেয়া হবে না। তাদেরকে কোন অবস্থাতেই কারাগার চৌহদ্দীর বাহিরে যেতে দেয়া হবে না এবং কারারক্ষীদের সঙ্গে তাদের ব্যারাকে বা রন্ধনশালায় মেলামেশা করতে দেয়া হবে না ।

বিধি-৪১২ ৷ কোন ক-য়েদী রক্ষীর কাজ জেল সুপারের নিকট সম্পূর্ণ সন্তোষজনক মনে হলে তিনি তাকে মাসে ৮ দিন রেয়াত এবং চার আনা আনুতোষিক প্রদান করবেন এবং তাকে যুক্তিসঙ্গত অতিরিক্ত খাবার দেয়া যেতে পারে ।

 

google news logo
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

বিধি-৪১৩। কারা মহাপরিদশকের অনুমোদন সাপেক্ষে জেল সুপার কোন কয়েদী রক্ষীকে অপসারণ করতে পারবেন। এসব প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন কারা মহাপরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করবেন। জেল সুপার একজন ক-য়েদী রক্ষীকে লঘু অপরাধের শাস্তি প্রদান করতে পারবেন এবং রেয়াত থেকে সাময়িক বঞ্চিত করতে পারবেন।

বিধি-৪১৪। তারা একটি চামড়ার বেল্ট পরিধান করবে যার পিতলের বকলেসে ” কয়েদী ওয়ার্ডার” কথাটি লেখা থাকবে। টহলের সময় কিংবা একাকী পোস্টে দায়িত্ব পালনের সময়ে তাদের নিকট সাধারণ রক্ষীদের বেত থাকবে।

বিধি-৪১৫। তারা সশ্রম বন্দীদের স্কেলে খাবার পাবে। অসুস্থ হলে মেডিকেল অফিসারের সুপারিশ মোতাবেক তারা হাসপাতাল ডায়েট পাবে।

বিধি ৪১৬। এ বিধি যথা সম্ভব মহিলা কয়েদী রক্ষীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, তাদেরকে মহিলা বেষ্টনীর বাহিরে যেতে দেয়া হবে না।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment