আজকের আলোচনার বিষয়ঃ অকৃষিভূমির প্রি এমশনের আইন (অগ্রক্রয়াধিকার)
Table of Contents
অকৃষিভূমির প্রি এমশনের আইন (অগ্রক্রয়াধিকার)
দি নন-এগ্রিকালচারাল এণ্ড টেন্যান্সী এ্যাক্ট, ১৯৪৯ (ইস্ট বেঙ্গল এ্যাক্ট-২৩/১৯৪৯) এর ২৪ ধারায় স্টেট একুইজিশন এণ্ড টেন্যান্সী এ্যাক্ট, ১৯৫০-এর ৯৬ ধারার ন্যায় কোন কোন অকৃষি ভূমির জন্য অনুরূপ প্রি এমশনের অধিকার প্রদান করা হয়েছে।
(১৯৬৭ সনের অধ্যাদেশ ১০ এর বলে ২৪ ধারাকে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে সংশোধন করা হয়েছে।)
২৪ ধারার (১) উপ-ধারাঃ যদি কোন অকৃষি ভূমির টেন্যান্টের বা প্রজার স্বত্ত্বাধীন অকৃষি ভূমির কোন খণ্ড বা অংশ হস্তান্তরিত হয় তবে এরূপ ভূমির এক বা একাধিক অংশীদার উক্ত এ্যাক্টের ২৩ ধারা মোতাবেক নোটিশ জারীর ৪ মাসের মধ্যে এবং যে ক্ষেত্রে কোন নোটিশ জারী হয় নেই সেই ক্ষেত্রে উক্ত হস্তান্তরের বিষয় অবগত হওয়ার তারিখ হতে ৪ মাসের মধ্যে এরূপ খণ্ড বা অংশ তার বা তাদের, অবস্থাভেদে, নিকট হস্তান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারেন।
(২) উপ-ধারাঃ (১) উপ-ধারাধীন পেশকৃত আবেদনটি বাতিল বা ডিস্মিস্ হয়ে যাবে যদি আবেদনকারীগণ এটি আদালতে পেশকালে এর সঙ্গে আবেদনকারীদের উপর ২৩ ধারা অনুযায়ী জারীকৃত নোটিশে হস্তান্তরিত সম্পত্তির খণ্ডের বা অংশের বর্ণিত পণের টাকা (Consideration money) অথবা মূল্য তৎসহ উক্ত টাকার উপর শতকরা পাঁচ ভাগ হারে ক্ষতিপূরণ জমা না দেন।”
(৩) উপ-ধারাঃ যদি এরূপ টাকা জমা প্রদান করা হয়, তবে আদালত, হস্তান্তরের তারিখের পরবর্তী সময়ের জন্য খাজনা পরিশোধ বা সম্পত্তির দায়-মুক্তি’ বাবদ কত ব্যয় করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের তারিখ হতে নোটিশ জারীর তারিখ পর্যন্ত হস্তান্তরিত সম্পত্তির খণ্ডের বা অংশের বিল্ডিং বা কাঠামো নির্মাণ বাবদ অথবা অন্য কোন উন্নয়ন বাবদ আরও যদি কিছু ব্যয় করা হয়ে থাকে, এর বর্ণনা প্রদানের জন্য আদালত যেরূপ নির্ধারণ করবেন সেরূপ সময়ের মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য হস্তান্তরগ্রহীতাকে নোটিশ প্রদান করবেন।
আদালত তখন (৪) উপ-ধারা অনুসারে কোন ব্যক্তি যার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে তাকে-সহ আবেদনকারীকে এ সকল বাবদ হস্তাস্তরগ্রহীতা যা পরিশোধ অথবা ব্যয় করেছেন তা এবং তৎসহ যে তারিখে ইহা পরিশোধ বা ব্যয় করেছেন সেই তারিখ হতে এর উপর বার্ষিক শতকরা ৬১/২ ভাগ হারে সুদ, আদালত যা সঙ্গত মনে করেন, এরূপ সময়ের মধ্যে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করবেন।
শর্ত থাকে যে, যদি কোন আবেদনকারী হস্তান্তরগ্রহীতার উক্ত বাবদ পরিশোধকৃত ও ব্যয়ের কোন হিসাবের সঠিকতা সম্পর্কে আপত্তি করেন তবে আদালত এরূপ আপত্তি অনুসন্ধান করবেন এবং হস্তান্তরগ্রহীতাকে তার বক্তব্য শুনানীর সুযোগ প্রদানান্তে এ সকল বাবদ হস্তান্তরগ্রহীতা কর্তৃক পরিশোধকৃত বা ব্যয়ের প্রকৃত টাকার হিসাব নির্ণয়
করবেন এবং পূর্বোক্ত মতে বার্ষিক শতকরা ৬ ভাগ হারে সুদসহ এরূপ নির্ধারিত 8 টাকা, আদালত যেরূপ সঙ্গত মনে করেন সেরূপ সময়ের মধ্যে জমা প্রদানের জন্য আবেদনকারীকে নির্দেশ প্রদান করবেন ।
(৪) উপ-ধারার (এ) অনুচ্ছেদ : যদি এক বা একাধিক সহ-অংশীদার টেন্যান্টগণ (১) উপ-ধারা মোতাবেক আবেদন করেন তবে হস্তান্তরগ্রহীতাদের মধ্যে যদি কেউ থাকেন তাকে-সহ অবশিষ্ট অংশীদারগণের যে কেউ পূর্বোক্ত উপ-ধারায় বর্ণিত ৪ মাসের সময়ের মধ্যে অথবা আবেদনের নোটিশ জারীর এক মাসের মধ্যে, যেটা পরে হবে উক্ত আবেদনে সামিল হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন এবং কোন সহ- অংশীদার (১) উপ-ধারা মতে আবেদন না করেন বা এই উপ-ধারা অনুযায়ী সামিল হওয়ার জন্য আবেদন না করেন তার এই ধারা অনুসারে আর ক্রয় করার অধিকার থাকবে না।
(বি) অনুচ্ছেদ : যুগ্ম আবেদনকারী হিসেবে যোগদানের এরূপ আবেদনটি ডিমিস্ হয়ে যাবে যদি আবেদনকারী (১) উপ-ধারাধীন দরখাস্তকারীকে পরিশোধের জন্য (২) উপ-ধারার নিমিত্তে তার কর্তৃক তার অংশ হিসাবে পরিশোধের জন্য আদালত যে অংকের টাকা নিরূপণ করবেন, তা, আদালত যে সময় নির্ধারণ করবেন সে সময়ের মধ্যে আদালতে জমা প্রদান না করেন।
(সি) অনুচ্ছেদঃ যদি এরূপ টাকা জমা প্রদান করা হয়, আদালত সামিল হওয়ার দরখাস্তখাটি মঞ্জুর করবেন এবং তৎপর হতে উক্ত আবেদনকারীকে (১) উপ-ধারা মোতাবেক আবেদনকারী হিসেবে গণ্য করা হবে।
(৫) উপ-ধারাঃ যদি (২) অথবা (৪) উপ-ধারার (বি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ক্ষেত্র অনুযায়ী এবং (৩) উপ-ধারা মোতাবেক (টাকা) জমা প্রদান করা হয় তবে আদালত দরখাস্তখাটি অনুমোদনের আদেশ দিবেন এবং (২) ও (৩) উপ-ধারা অনুসারে জমাকৃত টাকা হস্তান্তরগ্রহীতাকে বা আদালত যাকে যোগ্য মনে করেন তাকে পরিশোধের জন্য নির্দেশ দিবেন।
(৬) উপ-ধারাঃ আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে অন্য কোনরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও যদি (১) উপ-ধারা অনুসারে আবেদনকারী অথবা যে কোন ব্যক্তি যার আবেদন (৪) উপ-ধারা অনুসারে মঞ্জুর করা হয়েছে, এরূপ আবেদনকারী ২৩ ধারা অনুসারে জারীকৃত নোটিশে বর্ণিত পণের টাকার (Consideration money) সঠিকতা সম্পর্কে আপত্তি তোলেন তবে আদালত (৫) উপ-ধারা অনুযায়ী আদেশ প্রদানের পূর্বে উক্ত আপত্তি সম্পর্কে অনুসন্ধান করবেন এবং হস্তান্তরহীতাকে শুনানীর সুযোগ প্রদানান্তে |
সম্পত্তির খণ্ড বা অংশ] হস্তান্তরের জন্য পণের টাকা বা হস্তান্তরগ্রহীতা প্রকৃত পক্ষে পরিশোধ করেছেন এই ধারার উদ্দেশ্যে নির্ণয় করবেন এবং এরূপ নির্ণিত অঙ্ক (২) উপ-ধারায় বর্ণিত পণের টাকা হিসাবে গণ্য হবে এবং যেখানে পণের মূল্যের টাকার অঙ্ক এরূপে নির্ণিত হয়েছে, সেই উপ-ধারা মোতাবেক জমা হয়েছে, সেটাই হবে (৫) উপ-ধারার নিমিত্তে এরূপ নির্ণিত টাকা তৎসহ এর উপর শতকরা ৫ ভাগ হারে ক্ষতিপূরণ।
(৭) উপ-ধারাঃ (৫) উপ-ধারা অনুসারে একাধিক সহ-অংশীদারদের পক্ষে আদেশ প্রদান কালে আদালত বিদ্যমান দখল বিবেচনায় খণ্ডে বা অংশে অন্তর্ভুক্ত হস্তান্তরিত সম্পত্তিটিকে আবেদনকারীগণের মধ্যে এরূপভাবে বিভক্ত করবেন যেন ন্যায়ভিত্তিক বলে বিবেচিত হয়; যে কোন আবেদনকারীর অনুরোধে আদালত সম্পত্তিটিকে বা এর খণ্ডটিকে এরূপভাবে বিভক্ত করবেন এবং অবশিষ্ট আবেদনকারীর মধ্যে সমবণ্টনের জন্য যদি আদালত প্রয়োজন মনে করেন এরূপ ক্ষেত্রে আদালত যে সময় নির্ধারণ করবেন সে সময়ের মধ্যে এরূপ অনুরোধকারী আবেদনকারীদেরকে আরও টাকা জমা প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করবে ।
শর্ত থাকে যে এই উপ-ধারা অনুসারে কোন বিভক্তির আদেশ টেন্যান্সীর (জোতের) বিভাগ বলে গণ্য হবে না ।
(৮) উপ-ধারাঃ (৫) উপ-ধারা অনুসারে আদেশ হওয়ার তারিখ হতে
(i) হস্তান্তরের ফলে হস্তান্তগ্রহীতার অকৃষি ভূমির অংশে বা খণ্ডে যে অধিকার, স্বত্ত্ব এবং স্বার্থ উদ্ভব হয়েছিল, (৭) উপ-ধারাধীন পাশকৃত কোন আদেশের সাপেক্ষে সকল দায় যাহা হস্তান্তরের তারিখ হতে উদ্ভূত হয়েছিল তা মুক্ত হয়ে সহ-অংশীদার টেন্যান্টের যার ক্রয় করার আবেদন (৫) উপ-ধারা মোতাবেক মঞ্জুর করা হয়েছে তার হাতে অর্পিত হবে
(ii) হস্তান্তরের ফলে খাজনা বাবদ হস্তান্তরগ্রহীতার দায় রহিত হবে, এবং
(iii) এরূপ আবেদনকারীর আরও আবেদনের ভিত্তিতে আদালত তাকে তার হস্তে অর্পিত সম্পত্তির দখলে বহাল করে দিতে পারেন।
(৯) উপ-ধারাঃ কোন আদালতের এই ধারা অনুসারে যে কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল গ্রহণের এখতিয়ার আছে এরূপ দেওয়ানী আপীল আদালতে আপীল করা যাবে।
(১০) উপ-ধারা ঃ এই উপ-ধারায় এমন কিছুই নাই যা মুসলিম আইনে প্রদত্ত কোন ব্যক্তির প্রি এমশনের অধিকার হতে বঞ্চিত করতে পারে।
(১১) উপ-ধারাঃ এই ধারার কোন কিছুই প্রয়োগ করা যাবে না (নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে)-
(এ) অনুচ্ছেদ ঃ প্রজাস্বত্বের (Tenancy) কোন অংশীদার যার বর্তমানে স্বত্ব ক্রয়সূত্র ব্যতীত অন্যবিধ উপায়ে উদ্ভব হয়েছে এরূপ অংশীদারের নিকট ভূমি হস্তান্তর করা হলে, বা
(বি) অনুচ্ছেদঃ বিনিময় বা বাটোয়ারাসূত্রে হস্তান্তর হলে, কিংবা
(সি) অনুচ্ছেদঃ উইলদাতা (Testator) বা দাতা (Donor) কর্তৃক তার স্বামী বা স্ত্রীকে অথবা কোন উইলদাতা বা দাতা কর্তৃক তার তিন ডিগ্রীর (তিন পুরুষ) মধ্যে কোন নিকটতম আত্মীয়কে দান (হেবাসহ কিন্তু আর্থিক বিনিময় হেবা বিল এওয়াজ ব্যতীত) হস্তান্তরিত হলে, অথবা
(ডি) অনুচ্ছেদঃ মুসলিম আইন অনুযায়ী গঠিত ওয়াফ, বা
(ই) অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তির জন্য আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ (Reservation) ব্যতীত কোন দেবোত্তর বা কোন ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত বা দান করা হলে।
ব্যাখ্যাঃ এই ধারার উদ্দেশ্য নিকট আত্মীয় (By Consanguinity) হিন্দু আইনে দত্তক পুত্রকেও বুঝাবে। ২৪ ধারার (১) উপ-ধারা হতে (১২) উপ-ধারা পর্যন্ত বিধি-বিধানগুলোর সংক্ষেপে নিম্নে প্রদান করা হল
প্রি এমশনের জন্য আবেদনের সময় সীমা
২৪ ধারার (১) উপ-ধারা বলা হয়েছে, যে কোন অকৃষি ভূমির খণ্ড বা অংশ হস্তান্তরিত হলে ইহার সহ-অংশীদারগণ ২৩ ধারা মোতাবেক নোটিশ জারীর ৪ মাসের মধ্যে অথবা নোটিশ জারী না হলে হস্তান্তরের বিষয় অবগত হওয়ার তারিখ হতে ৪ মাসের মধ্যে তাদের নিকট হস্তান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারবেন।
অকৃষি ভূমির প্রি এমশনের অধিকারী ব্যক্তি
উপরোক্ত (১) উপ-ধারা অনুযায়ী, হস্তান্তরিত অকৃষি ভূমির সহ-অংশীদারগণ প্রি- এমশনের অধিকার পাওয়ার যোগ্য। কৃষি ভূমির ন্যায় লাগ ভূমির মালিকগণ প্রি- এমশনের অধিকার পাওয়ার যোগ্য নন।
দরখাস্ত ও পণ মূল্য জমা প্রদানের বিধান
(২) উপ-ধারায় বলা হয়েছে যে, ২৩ ধারার নোটিসে উল্লেখিত পণের টাকা (Consideration money) অথবা মূল্য এবং ইহার উপর অকৃষি ভূমির জন্য ১৫% কৃষি জমির জন্য ২৫% এবং শতকরা ৮ ভাগ হারে ক্ষতিপূরণ দরখাস্তের সঙ্গে আদালতে জমা প্রদান না করলে (১) উপ-ধারা মোতাবেক প্রি এমশনের আবেদনটি পরিশেষে গ্রহণযোগ্য হবে না এবং মামলাটি ডিসমিস হয়ে যাবে।
ভূমি বাবদ ব্যয়ের টাকা জমা প্রদান এবং তার সঠিকতা প্রসঙ্গে
(৩) উপ-ধারায় বলা হয়েছে যে, টাকা জমা প্রদানের পর আদালত ভূমি হস্তান্তরের তারিখ হতে হস্তান্তরগ্রহীতা, খাজনা পরিশোধ অথবা এর দায়মুক্তি বাবদ কত টাকা ব্যয় করেছেন এবং হস্তান্তরের তারিখ হতে আবেদনের নোটিশ জারীর তারিখ পর্যন্ত এতে বিল্ডিং, কাঠামো ও অন্যান্য উন্নয়নের জন্য আরও কত ব্যয় করেছেন তার বিবরণ প্রদানের জন্য নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য হস্তান্তরগ্রহীতাকে নির্দেশ দিবেন। আদালত তখন হস্তান্তরগ্রহীতা কর্তৃক এ সকল বাবদ যা ব্যয় করা হয়েছে এবং উক্ত ব্যয়ের তারিখ হতে এর উপর বার্ষিক শতকরা সোয়া ছয় ভাগ হারে সুদসহ সাকুল্য টাকা নির্ধারিত তারিখে জমা প্রদানের জন্য সকল আবেদনকারীগণকে নির্দেশ দিবেন ।
(৪) উপ-ধারা (এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এক বা একাধিক সহ-অংশীদার (১) উপ- ধারা মোতাবেক আবেদন করলে হস্তান্তরগ্রহীতাদের মধ্যে যদি কেউ থাকে তাকেসহ অবশিষ্ট সহ-অংশীদার টেন্যান্টগণকে (১) উপ-ধারা মোতাবেক ৪ মাসের মধ্যে অথবা দরখাস্তের নোটিশ জারীর ১ মাসের মধ্যে যে সময়টি পরে হবে, উক্ত দরখাস্তে শরীক হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। যে সহ-অংশীদার (১) উপ-ধারা বা (৪) উপ-ধারা মোতাবেক সামিল হওয়ার জন্য দরখাস্ত করেননি তাদের এই ধারা অনুসারে ক্রয় করার আর অধিকার থাকবে না অর্থাৎ তাদের আর প্রি এমশনের অধিকার থাকবে না।
(বি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী (১) উপ-ধারাধীন আবেদনকারীগণকে প্রদানের জন্য আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত টাকা জমা প্রদান না করলে সামিল হওয়ার জন্য দরখাস্তখানা বাতিল হয়ে যাবে।
(সি) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এই টাকা জমা প্রদানের পর আদালত উক্ত আবেদনকারীগণের আবেদন মঞ্জুর করবেন এবং তাদেরকে (১) উপ-ধারা অনুসারে আবেদনকারী হিসাবে গণ্য করা হবে।
(৫) উপ-ধারা বলা হয়েছে, (২) উপ-ধারা অথবা (৪) উপ-ধারার (বি) অনুচ্ছেদ এবং (৩) উপ-ধারা মোতাবেক টাকা জমা হলে আদালত (২) ও (৩) উপ-ধারা মোতাবেক জমাকৃত টাকা হস্তান্তরগ্রহীতা বা অন্য কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রদানের জন্য নির্দেশ দিবেন ।
(৬) উপ-ধারা বলা হয়েছে, যদি কোন আবেদনকারী ২৩ ধারার নোটিশে উল্লিখিত পণের টাকার সঠিকতা সম্পর্কে কোন আপত্তি তোলেন তাহলে আদালত অনুসন্ধান করবেন এবং (৫) উপ-ধারা মোতাবেক আদেশ প্রদানের পূর্বে হস্তান্তরগ্রহীতা কর্তৃক পণের টাকা প্রকৃতপক্ষে কত পরিশোধ করা হয়েছে তা নির্ণয় করবেন এবং এটাই হবে (২) উপ ধারা মোতাবেক পণের টাকা। এরূপে নির্ণিত ও জমাকৃত টাকা এবং এর উপর শতকরা ৫ ভাগ হারে ক্ষতিপূরণসহ হবে (৫) উপ-ধারা মোতাবেক ।
(৭) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, একাধিক সহ-অংশীদারদের পক্ষে আদেশ প্রদানকালে আদালত বিদ্যমান দখল বিবেচনা করে সম্পত্তিটিকে এমনভাবে আবেদনকারীদের মধ্যে ভাগ করবেন যা ন্যায়ভিত্তিক বলে বিবেচিত হবে, এক্ষেত্রে অবশিষ্ট আবেদনকারীদের মধ্যে সমবণ্টনের জন্য আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে আরও টাকা কম প্রদানের জন্য আদেশ দিতে পারেন।
শর্ত হলো যে, এই ধারা মোতাবেক কোন বিভক্তির আদেশ টেন্যান্সীর বিভাগ হিসেবে কার্যকরী হবে না।
(৮) উপ-ধারায় বলা হয়েছে যে, (৫) উপ-ধারা মোতাবেক আদেশ হওয়ার পর (i) অকৃষি ভূমিতে হস্তান্তরগ্রহীতার যে অধিকার, স্বত্ত্ব ও স্বার্থ উদ্ভব হয়েছিল (৭) উপ- ধারাধীন পাশকৃত কোন আদেশের সাপেক্ষে তা সকল দায়মুক্ত হয়ে আবেদনকারীদের হাতে ন্যস্ত হবে, (ii) হস্তান্তরগ্রহীতার খাজনা বাবদ দায়-দায়িত্ব রহিত হয়ে যাবে, এবং (ii) আরও আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এরূপ আবেদনকারীকে সম্পত্তির দখলে বহাল করে দিতে পারেন।
(৯) উপ-ধারায় বলা হয়েছে যে, এই ধারায় আদালতের যে কোন আদেশের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আপীল আদালতে আপীল করা যাবে।
(১০) উপ-ধারায় বলা হয়েছে যে, এই ধারা কোন বিধি মুসলিম আইনে কারও প্রাপ্য প্রি এমশনের অধিকার হইতে বঞ্চিত করতে পারবে না।
(১১) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, নিম্নলিখিত এই ধারার কোন বিধি-বিধান প্রয়োগ করা যাবে না। ((১১) উপ-ধারার (এ) হতে (ই) পর্যন্ত দেখুন)
আরও দেখুনঃ