আজকের আলোচনার বিষয়ঃ ভূমি জরিপে অত্যাবশ্যকীয় করণীয়

Table of Contents
ভূমি জরিপে অত্যাবশ্যকীয় করণীয়
(১) প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ
যে এলাকাটি জরিপ করবেন তার চতুর্দিক ঘুরে দেখুন। জমিটির পুরো চৌহদ্দির মধ্যে কোন বাধাবিঘ্ন আছে কিনা তা দেখতে হবে। কিভাবে পরিমাপ করলে বাধাবিঘ্ন এড়ানো যাবে তা স্থির করতে হবে।
জমিটি কি প্রকৃতির, একে কয়টি ভাগে বিভক্ত করে পরিমাপ করবেন, কয়টি ত্রিভুজ কিম্বা চতুর্ভূজ করবেন, তাও স্থির করুন।
(২) স্টেশন ও স্টেশন লাইন নির্বাচন :
জরিপ কাজ কোন পয়েন্ট থেকে শুরু করবেন তা স্থির করে সেস্থানে একটি খুঁটি গাড়ুন। এটিই হলো স্টেশন। এবার সুবিধামত অপর স্টেশন লাইন ঠিক করুন। এভাবে জমিটিকে সুবিধামত অপর স্টেশন লাইন ঠিক করুন। এভাবে জমিটিকে সুবিধামত কয়েকটি প্লটে বিভক্ত করে এর কালি করুন।
৩। পুরো জমিটির নকশা কাগজে আঁকুন। তারপর স্টেশন চিহ্নিত করে যে কয়টি প্লটে বিভক্ত করেছেন, প্রত্যেকটি প্লটের “A” “B” “C” “D” ইত্যাদি নাম দিন। ফিতা বা চেইন দিয়ে সরেজমিনে মেপে যে পরিমাপ পেয়েছেন তা প্রতিটি প্লটে লিখুন। এবার সবগুলো যোগ করে পুরো জমির ক্ষেত্রফল বের করুন ।

জরিপ কাজে যন্ত্রপাতিঃ
জরিপ কাজে নিম্নলিখিত যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় :
১। গান্টার চেইন / ফিতা
২। তিন পায়া বিশিষ্ট টেবিল
৩। লগি
৪। শুনিয়া /থ্রি থার্টি স্কেল
৫। খুঁটি
৬। রুলার
৭। চাঁদা
৮। ওলন
৯। পেন্সিল
১০। আলামত তালিকা
১১। শিট
১২। কাগজ

বাংলাদেশে জমিজমার খতিয়ান দশমিকে প্রকাশের পাশাপাশি কড়া ক্রান্তি হিসাবেও রয়েছে। দশমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে বলে অনেকে দশমিকের খতিয়ান বুঝতে পারেন কিন্তু কড়া ক্রান্তি হিসাবের খতিয়ান বুঝতে অসুবিধা হয়। দশমিকের পাশাপাশি কড়া ক্রান্তি হিসাব কি জন্য রয়েছে তা বলা মুশকিল। খতিয়ানে কড়া হতে একই সম্পর্ক রেখে হিসাবকে দু’ভাবে করা হয়েছে- (১) হয় বিন্দু হতে, (২) যব হতে। কোন খতিয়ানের মালিকের অংশের ঘরটা প্রথমে খুব ভালভাবে যোগ করে দেখবেন যে সেই যোগটা বিন্দুর সূত্র ধরলে মিল হয়, না যবের সূত্র ধরলে মিল হয় । হিসাবে ভুল না থাকলে যে কোন একটি সূত্রে মিলবে ।
আরও দেখুনঃ