শিশু এবং বাল-অপরাধীদেরকে আটক, ইত্যাদির ব্যবস্থা | শিশু আইন

শিশু এবং বাল-অপরাধীদেরকে আটক, ইত্যাদির ব্যবস্থা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় শিশু এবং বাল-অপরাধীদেরকে আটক, ইত্যাদির ব্যবস্থা

শিশু এবং বাল-অপরাধীদেরকে আটক, ইত্যাদির ব্যবস্থা

 

শিশু এবং বাল-অপরাধীদেরকে আটক, ইত্যাদির ব্যবস্থা

 

৫৫। শিশুকে নিরাপদ স্থানে আটক রাখা।-

(১) কোন প্রবেশন অফিসার অথবা কম পক্ষে সহকারী সাব-ইন্সপেক্টরের পদমর্যাদা সম্পন্ন পুলিশ অফিসার অথবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রদত্ত ব্যক্তি যে কোন শিশু যাহার সম্পর্কে এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ রহিয়াছে যে, সে অপরাধ করিয়াছে বা করিতে পারে বলিয়া সম্ভাবনা রহিয়াছে তাহাকে কোন নিরাপদ স্থানে লইয়া যাইতে পারে ।

(২) যে শিশু কোন নিরাপদ-স্থানে এরূপে আনীত হইয়াছে তাহাকে এবং যে শিশু নিরাপদ স্থানে আশ্রয় লাভ করিতে চায় তাহাকেও আদালতে হাজির না করা পর্যন্ত আটক রাখা যাইতে পারে :

তবে শর্ত থাকে যে, আদালতের কোন বিশেষ আদেশ না থাকিলে, এইরূপ আটক রাখার মেয়াদ ২৪ ঘন্টার অধিক হইবে না, আটক স্থান হইতে আদালত পর্যন্ত যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময় উক্ত মেয়াদ বর্হিভূত থাকিবে । 

(৩) আদালত তাহার উপর অতঃপর বর্ণিত আদেশ প্রদান করিতে পারেন।

৫৬। শিশুর যত্ন এবং আটক রাখার ব্যাপারে আদালতের ক্ষমতা।-

(১) যে ক্ষেত্রে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উহার সমক্ষে হাজিরকৃত কোন শিশু সম্পর্কে এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ রহিয়াছে যে, সে ৫৫ ধারায় বর্ণিত অপরাধ করিয়াছে বা করিবে বলিয়া সম্ভাবনা রহিয়াছে এবং তাহার স্বার্থে এই আইনের অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন তাহা হইলে আদালত,

শিশুটি সম্পর্কে অপরাধ সংঘটনের অপরাধে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার জন্য যুক্তি সঙ্গত সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত শিশুকে তত্ত্বাবধান করা ও আটক রাখার জন্য অথবা প্রয়োজন মোতাবেক অন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয় উহার চাহিদা অনুযায়ী আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন ।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত আটকাদেশ, উক্ত উপধারায় উল্লিখিত অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলার পরিসমাপ্তি, দোষী সাব্যস্ত হওয়া, অব্যাহতি প্রদান কিংবা খালাস দেওয়ার মাধ্যমে না ঘটা পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে ।

(৩) কোন ব্যক্তি শিশুর অভিভাবকত্ব দাবী করা সত্ত্বেও এই ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ কার্যকর করা হইবে।

৫৭। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুকে কিশোর আদালতে প্রেরণ করিতে হইবে।-শিশু সম্পর্কে অপরাধ সংঘটনের জন্য কোন ব্যক্তি যে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয় অথবা অনুরূপ কোন অপরাধের বিচারের জন্য কোন ব্যক্তিকে যে আদালতে হাজির করা হয় সেই আদালত সংশ্লিষ্ট শিশুকে কোন কিশোর আদালতে অথবা যেখানে কোন কিশোর আদালত নাই ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রদত্ত আদালতে হাজির হইবার নির্দেশ দিবেন, যাহাতে উক্ত আদালত যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারেন ।

 

google news logo
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

৫৮। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুকে সোপর্দের আদেশ।

যে আদালতে ৫৭ ধারা অনুযায়ী কোন শিশুকে পেশ করা হয় সেই আদালত আদেশ দিতে পারেন যে,

                (ক) শিশুর বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অথবা, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে আরও সংশ্লিষ্ট মেয়াদের জন্য এইরূপ সংক্ষিপ্ততর মেয়াদের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া শিশুটিকে প্রত্যায়িত ইনষ্টিটিউট অথবা কোন অনুমোদিত আবাসে সোপর্দ করিতে হইবে, অথবা

                (খ) শিশুর আত্নীয় কিংবা উপযুক্ত ব্যক্তি শিশুর যথা যথ তত্ত্বাবধান, নিয়ন্ত্রণ এবং হেফাজত করিতে এবং প্রয়োজন হইলে অনধিক ৩ বৎসরের জন্য তত্ত্বাবধান করা সহ অন্যান্য যে সকল শর্ত আদালত শিশুর স্বার্থে আরোপ করিতে পারে সেই সকল শর্ত পালন করিতে আগ্রহী এবং সক্ষম এই মর্মে

জামিনে আদালত যেরূপ নির্দেশ দিবেন সেইরূপে মুচলেকা দানের পর শিশুকে উক্ত আত্মীয় বা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোপর্দ করিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, যদি শিশুটির পিতামাতা অথবা অভিভাবক থাকে যিনি,

আদালতের মতে শিশুর যথাযথ তত্ত্বাবধান, নিয়ন্ত্রণ ও হেফাজত করার জন্য উপযুক্ত বা সক্ষম তবে আদালত শিশুটিকে তাহার জিম্বায় রাখিতে অনুমতি দিতে পারেন অথবা তিনি নির্ধারিত ফরমে এবং যে সকল শর্ত আদালত শিশুর স্বার্থে আরোপ করিতে পারেন সেই সকল শর্ত পূরণের জন্য জামানতসহ বা বিনা জামানতে একটি মুচলেকা প্রদান করিলে আদালত শিশুকে তাহার তত্ত্বাবধানে সোপর্দ করিতে পারে।

৫৯। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের তত্ত্বাবধান।

যে আদালত পূর্ববর্তী বিধানাবলীর অধীনে শিশুকে তাহার পিতা-মাতা অভিভাবক অথবা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোপর্দের আদেশ প্রদান করেন সেই আদালত আরও আদেশ দিতে পারেন যে, তাহাকে তত্ত্বাবধানে রাখিতে হইবে ।

৬০। তদারক ভঙ্গ।

প্রবেশন অফিসারের নিকট হইতে অন্য প্রকারে রিপোর্ট পাইয়া যদি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, যে শিশু সম্পর্কে তদারকী আদেশ প্রদান করা হইয়াছে, সেই শিশু সম্পর্কিত আদেশ ভঙ্গ করা হইয়াছে তাহা হইলে আদালত যেরূপ তদন্ত করা উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ তদন্তের পর কোন প্রত্যায়িত ইনষ্টিটিউটে শিশুটিকে আটক রাখিবার আদেশ দিতে পারেন ।

৬১। শিশুর তল্লাশী পরোয়ানা।-

(১) কিশোর আদালত অথবা ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রদত্ত আদালতের নিকট যদি যে ব্যক্তি শিশুর স্বার্থে কাজ করিতেছে তৎকর্তৃক শপথ গ্রহণ পূর্বক ও দৃঢ়চিত্তে ঘোষিত তথ্য হইতে প্রতীয়মান হয় যে, শিশুটি সম্পর্কে একটি অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে অথবা জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হইলে সংঘটিত হইবে বলিয়া সন্দেহ করার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে তাহা হইলে আদালত এইরূপ শিশুকে তল্লাশী করিবার জন্য এবং যদি দেখা যায় যে,

ইতিপূর্বে বর্ণিত পন্থায় শিশুর সহিত ইচ্ছাকৃত ভাবে দুর্ব্যবহার করা বা তাহাকে অবহেলা করা হইয়াছে বা হইতেছে অথবা শিশুটি সম্পর্কে কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে তবে তাহাকে আদালতে হাজির করিতে না পারা পর্যন্ত কোন নিরাপদ স্থানে লইয়া যাইয়া আটক রাখিবার জন্য কোন পুলিশ অফিসারকে কর্তৃত্ব প্রদান করিয়া একটি পরোয়ানা উহাতে তাহার নাম উল্লেখ পূর্বক জারী করিতে পারিবেন। যে আদালতে শিশুটিকে হাজির করা হয় সেই আদালত প্রথমতঃ তাহাকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোন নিরাপদ স্থানে প্রেরণ করিতে পারেন।

(২) এই ধারার অধীনে সমন প্রদানকারী আদালত উক্ত সমন দ্বারা নির্দেশ দিতে পারেন যে শিশুটি সম্পর্কে কোন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত যে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিয়া উহার নিকট হাজির করিতে হইবে অথবা নির্দেশ দিতে পারেন যে, যদি এইরূপ ব্যক্তি এই মর্মে একটি মুচলেকা সম্পাদন করেন যে, তিনি আদালত কর্তৃক অন্য কোন প্রকার নির্দেশ প্রদত্ত না হওয়া পর্যন্ত সময়ে এবং তাহার পর আদালত হাজিরা দিতে থাকিবেন তাহা হইলে যে অফিসারের নিকট সমনটি প্রদান করা হইয়াছে তিনি উক্ত জামানত গ্রহণ করিবেন এবং সেই ব্যক্তিকে হাজত হইতে মুক্তি দেবেন।

(৩) তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তি সমন কার্যকরী পুলিশ অফিসারের সঙ্গে থাকিবেন। যদি তিনি ইহা চাহেন এবং সমন প্রদানকারী আদালত যদি নির্দেশ দেন তাহা হইলে তাহার সঙ্গে একজন যথাযথভাবে যোগ্যতা সম্পন্ন ডাক্তারও থাকিবেন।

 

শিশু এবং বাল-অপরাধীদেরকে আটক, ইত্যাদির ব্যবস্থা

 

(৪) এই ধারার অধীনে কোন তথ্য অথবা সমনে শিশুটির নাম জানা থাকিলে উল্লেখ করিতে হইবে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment